অষ্টাদশ শতাব্দীতেই বিশ্বজুড়ে শিল্প বিপ্লবের শুরু হয়। যার ছোঁয়া ভারতীয় উপমহাদেশেও লাগে। ওই সময় উপমহাদেশসহ বিশ্বব্যাপী শিল্পকারখানাগুলো পরিবেশের কথা মাথায় রেখে স্থাপন করা হয়নি। এর ফলশ্রুতিতে সারাবিশ্বে ব্যাপকভাবে পরিবেশ বিপর্যয় ঘটছে এখন। বিংশ শতাব্দীতে এসে পরিবেশ দূষণের মাত্রা বেড়ে গেছে আশঙ্কাজনকভাবে। বাংলাদেশেও শিল্পের কারণে পরিবেশ দূষণের প্রভাব দেখা যাচ্ছে ব্যাপক হারে।

এক হিসেবে দেখা গেছে, দেশে অধিকাংশই শিল্পকারখানার পরিবেশ ছাড়পত্র নেই। তারা নিয়ম-নীতির তোয়াক্বা না করেই গড়ে তুলেছেন এসব শিল্পকারখানা। এসব শিল্প কারাখায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন সময় অভিযান চালিয়ে তাদেরকে অর্থ দণ্ড বা জেল-জরিমানাও করছে। কিন্তু একটু সচেতন হলেই এসব ঝামেলা থেকে মুক্তি পাওয়া য়ায়। সেই সঙ্গে কারখানায় সুস্থ্য পরিবেশ বজার থাকে। আর এজন্য প্রয়োজন পরিবেশ ছাড়পত্র। এটি নিতে হবে পরিবেশ অধিদপ্তর থেকে। আর এ পরিবেশ ছাড়পত্র নেওয়ার জন্য আপনাকে কিছু নিয়ম-নীতি অনুসরণ করতে হবে। চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক কীভাবে পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র পাওয়া যাবে।

আবেদন পত্র সংগ্রহ
পরিবেশ অধিদপ্তর থেকে ছাড়পত্র নেওয়ার জন্য প্রথমেই নির্ধারিত ফরমে আবেদন করতে হবে। আবেদন ফরম পেতে এই ঠিকানায় যান:
http://www.doe-bd.org/download.html

যেসব প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিতে হবে

  • ১. নির্ধারিত ফরমে আবেদনপত্র
  • ২. ফিজিবিলিটি স্ট্যাডি রিপোর্ট (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে)
  • ৩. বর্জ্য নির্গমন ও পরিশোধন ব্যবস্থার নকশা
  • ৪. লে-আউট প্ল্যান (বর্জ্য পরিশোধনাগারের অবস্থান নির্দেশিত দাগ, খতিয়ান উল্লেখপূর্বক মৌজাম্যাপ)।
  • ৫. উৎপাদন প্রক্রিয়ার ফ্লো-ডায়াগ্রাম
  • ৬. আইইই (Initial Environmental Examination) রিপোর্ট (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে)
  • ৭. ইআইএ (Environment Impact Assessment) রিপোর্ট (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে)
  • ৮. ইএমপি (Environmental Management Plan) রিপোর্ট (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে)
  • ৯. রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ/চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ/খুলনা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ/ রাজশাহী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ/ স্থানীয় কর্তৃপক্ষের অনুমতিপত্র (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে)
  • ১০. ট্রেজারী চালানের কপি।
  • ১১. হালনাগাদ আয়কর পরিশোধের প্রত্যায়নপত্র (টাকার পরিমাণসহ টিন, ভ্যাট সার্টিফিকেট)
  • ১২. পরিবেশগত বিরূপ প্রতিক্রিয়া সংক্রান্ত জরুরি পরিকল্পনাসহ দূষণের প্রকোপ হ্রাসকরণ পরিকল্পনা।
  • ১৩. পুনঃস্থাপন, পূনর্বাসন, পরিকল্পনার রূপরেখা (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে)।
  • ১৫. জায়গার মালিকানা দলিল (মিউটেশন পর্চা)/ভাড়ার চুক্তিপত্র)।
  • ১৬. ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স কর্তৃপক্ষের লাইসেন্স (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে)।

বিস্তারিত তথ্যের জন্য যোগাযোগ করুণ পরিবেশ অধিদপ্তর, ই-১৬ আগারগাঁও, শেরে বাংলা নগর, ঢাকা-১২০৭।

www.doe.gov.bd/site/page/7398ec78-0ee7-43c0-871e-96d16fd50a6b